Hands on Review Walton Primo V1 -BD Mobile Forum

ওয়াল্টন এবার নিয়ে আসছে তাদের প্রথম অক্টাকোর বা আট কোরের এন্ড্রয়েড ফোন। আর এই ফোনের নাম দেয়া হয়েছে ওয়াল্টন প্রিমো V1. এই ফোনের সাথে ওয়াল্টনের বাকি ফোন গুলোর সাথে মোটামুটি অনেক তারতম্য রয়েছে। এই ফোনের Design, looks আর এর নিত্য নতুন ফিচার এই ফোনকে করে তুলেছে সবার কাছেই গ্রহনযোগ্য। চলুন দেখে নেই ওয়াল্টন প্রিমো V1 এর হ্যান্ডস অন রিভিউ।

এক নজরে ওয়াল্টন প্রিমো V1

  • প্রসেসরঃ 1.7 GHz Octa core ARMv7 Processor
  • র‌্যামঃ 2 GB
  • জি.পি.ইউঃ Mali 450
  • ডিসপ্লেঃ  5.0-inch Full HD IPS2+OGS, Resolution-1080*1920 Pixels, Gorilla Glass 3
  • ক্যামেরাঃ CMOS: Rear camera: Omnivision BSI 13 Mega pixels Auto Focus camera, Front camera: BSI 5 Mega pixels, Video recording: Full HD (1080p) (1920×1080) Flash: Support.
  • স্টোরেজঃ 16GB, 64GB expandable
  • ও.এসঃ Android 4.2.2
  • ডুয়াল সিম, 3G, Sim 1 3G
  • ব্যাটারি: 2200MAH (removable)

বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইন

Walton V1 ডিজাইনের দিক দিয়ে অনেক ভাল করেছে। বিশেষ করে ডিসপ্লে ৫” হওয়ায় এটি সহজেই পকেটে বহন যোগ্য। এর বডি ডাউমেনশন হলো 145×69.8×7.64 mm. আর মোবাইলের ওজন যথেষ্ট হালকাই মনে হয়েছে। ওজন মাত্র 142.48 gram. মোবাইলের ফুল বডি মেটালিক না হলেও দেখে মনে হবে এটা সম্পূর্ন মেটালিক। কালো রঙের এই মোবাইলের ডিজাইন অনেকটাই Huawei Ascend P6 মতো। তবে মোবাইল হাতে নিয়ে আপনাকে অবশ্যই বলতে হবে এটা যথেষ্ট স্লিম আর ষ্টাইলিশ ফোন। এবার আমরা মোবাইলের কিছু স্থির চিত্র দেখে নেব আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে।


সি.পি.ইউ ও জি.পি.ইউ

Walton V1 এ ব্যবহার করা হয়েছে 1.7 GHz Octa core ARMv7 Processor, যেখানে রয়েছে Physical Core মোট আট টি। যখন আপনি Multi Tasking করবেন তখন এই অতিরিক্ত কোর গুলো আপনার মোবাইল কে স্লো বা হ্যাং থেকে রক্ষা করবে। আমি সবচাইতে আশাহত এখানে জি.পি.ইউ ব্যবহার হয়েছে Mali 450. অক্টাকোর প্রসেসর এর সাথে আমি Adreno আশা করেছিলাম। চলুন, এবার Hardware এর কিছু স্থির চিত্র দেখে নেই।


র‌্যাম এবং রম

এই মোবাইলে র‌্যাম রয়েছে 2 Gb আর রম রয়েছে 16 GB যার মধ্যে র‌্যাম ইউজ করা যাবে 1.8 Gb পর্যন্ত আর 16 Gb এর মধ্যে 3 Gb এপস ইনস্টল করা যাবে আর বাকি খালি যায়গা SD Card হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সব চাইতে বড় সুবিধা হলো্ এই মোবাইলে এক্সট্রা 64 Gb পর্যন্ত SD card ইউজ করা যাবে।
ডিসপ্লে এবং টাচ:
Walton V1 এর ডিসপ্লে হচ্ছে 5″ full Hd IPS2+OGS Display,supports 5 fingers multi touch. এর রেজুল্যুশন হলো 1920 x1080 Pixel আর প্রতি ইঞ্চিতে পিক্সেল রয়েছে 441. Touch Response যথেষ্ট ভালো। কোন প্রকার হ্যাং বা ল্যাগিং পাইনি। এতে রয়েছে ৩য় প্রজন্মের গরিলা গ্লাস। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তেই মোবাইলে ইচ্ছে মত আঙ্গুল লাগানো যায়, কোন প্রকার স্ক্র্যাচ পরার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। চলুন এবার আমরা এই মোবাইলের ডিসপ্লে’র কিছু স্থির চিত্র দেখে নেই।
ইউজার ইন্টারফেস
এই মোবাইলের ইউজার ইন্টারফেস এ অনেক নতুনত্ব আনা হয়েছে। বিশেষ করে থিম আর আইকন। এর থিম, আইকন সব কিছুতেই স্টাইল আর আধুনিকতার ছোয়া রয়েছে। আমরা আগেই আপনাদের দেখিয়েছিলাম Walton ZX এ এপ ড্রয়ার নেই, এর মেনু থেকে শুরু করে সব কিছুই ডিসপ্লে পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কিন্তু V1 এ বাকি এন্ড্রয়েড ফোনের মতো রয়েছে এপ ড্রয়ার। আমরা আমাদের এড্রয়েড ফোনে লঞ্চার ব্যবহার করি ফোনকে স্টাইলিশ করার জন্য। কিন্তু এর বিল্ট-ইন যে থিম গুলো রয়েছে তাতে করে আমার মনে হয়না কেউ এতে লঞ্চার ইউজ করতে চাইবেন। চলুন এবার আমরা এই ফোনের ইউজার ইন্টারফেস এর কিছু স্থির চিত্র দেখে নেই। আর এই স্থির চিত্রে আমার এড করেছি ক্যালকুলেটর, সেটিংস থেকে শুরু করে  প্রায় অনেক কিছুই।

ক্যামেরা

এই মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে CMOS Sensor এর Omnivision BSI 13 Mega pixels Auto Focus camera With Flash, আর ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে  BSI 5 Mega pixels. আর Video Recording করতে পারে Full HD (1080p) (1920×1080). এই মোবাইল দিয়ে তোলা পিকচার কোয়ালিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর ক্যামেরায় যে ফাংশন গুলো ব্যবহার করা হয়েছে সে গুলো হলো  (HDR mode, panorama mode, face beauty, auto scene detection, multi view, smiling photographs, etc.) AF mode: Support auto focus, face detection, touch focus and manual object tracking ISO Speed: Auto / 100/200/400/800/1600, Geo tagging, voice capture and image editing. এবার আমরা ক্যামেরা ফাংশন আর ক্যামেরা দিয়ে তোলা কিছু স্থির চিত্র দেখবো।

বেঞ্চমার্ক

এইবার দেখে নেব এই মোবাইলের বেঞ্চমার্ক। এই মোবাইলের বেঞ্চমার্ক রেজাল্ট কনফিগ অনুযায়ী যথেষ্ট ভালো। এবার আপনাদের দেখাবো Nena Mark এবং Antutu Benchmark এর কিছু স্থির চিত্র।

Walton V1 Vs Brand Mobile

আমরা অনেকেই দেশীয় Brand বলে নাট শিটকাই। কিন্তু যখন আমরা এই দেশীয় Brand এর সাথে International Brand এর তুলনা করি তখন পার্থক্য খুজে পাই খুব সামান্যই, অনেক ক্ষেত্রে Brand Mobile এর চেয়ে এর Performance যথেষ্ট ভালো। চলুন কিছু স্থির চিত্র দেখে নেই।

কানেক্টিভিটি ও সেন্সর

প্রায় সব ধরনের কানেক্টিভিটি  ও সেন্সর রয়েছে, শুধু মাত্র NFC এতে নেই। তাছাড়া রয়েছে Motion sensors: Accelerometer (3D), Gyroscope, Gravity, Linear acceleration, Rotation vector, Corrected Gyroscope, Environment sensors: Light (Brightness), Position sensors: Proximity, Orientation, Magnetic Field (Compass), Dual mic noise reduction. আরো রয়ছে Dual Band Wi-fi a/b/g/n (2.4 and 5 GHz), Bluetooth V4, Micro USB V2, OTG,Wireless Display Sharing, WLAN Hotspot.

এক্সট্রা ফিচার

কিছু এক্সট্রা ফিচার রয়েছে এই মোবাইলে যা সমসাময়িক অনেক এন্ড্রয়েড মোবাইলেই নেই। এতে রয়েছে  Sleep mode gesture. আর এই Gesture এর মধ্যে রয়েছে
- Alphabet wake, Swipe up, down, left and right এবং  Keyless wakeup. আর Smart Intelligence এর মধ্যে রয়েছে  Flip mute, Glove mode, 
 Smart ring. এই বিশেষ কিছু ফিচার দিয়ে আপনি মোবাইল লক থাকা অবস্থায় আপনি ডিসপ্লেতে আঙ্গুলের স্পর্শে মোবাইলের বিভিন্ন ফাংশন অন করতে পারবেন। চলুন, এবার আমার কিছু স্থির চিত্র দেখে নেই।

গেমিং রিভিউ

আমি এই মোবাইলে ৩টি গেমস খেলেছি। Shine Runner, Temple Run Oz এবং Virtua Tennis. সব গুলা গেমস আমি উচ্চ মাত্রার রেজুল্যূশন দিয়ে খেলেছি। কোন প্রকার হ্যাং বা ল্যাগিং পাইনি। বড়ং উচ্চ মাত্রার গ্রাফিক্স পেয়েছি। কিছু স্ত্রির চিত্র দেখে নেব আমরা।

ব্যাটারি ব্যাকাপ

এই মোবাইলের ব্যাটারি ধারন ক্ষমতা 2200 MAH.

দাম

মোবাইলের কনফিগারেশন অনুয়ায়ী এই মোবাইলের দাম আমার কাছে যথেষ্ট ঠিক ই লেগেছে। Walton Plaza থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়ায়ী এই মোবাইলের দাম হতে পারে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকার মধ্যে। যদি আপনারা Walton X2 এর দামের সাথে V1 এর তুলনা করেন তো V1 আপনাদের কাছে বেষ্ট মনে হবে। অন্তত আমার কাছে লেগেছে।

যেখানে আশাহত

মোবাইলের ডিসপ্লে অনযায়ী ব্যাটারি ব্যাকাপ আমার কাছে পর্যাপ্ত মনে হয়নি। ব্যাটারি ব্যাকাপ অন্তত 2700 MAH হওয়া উচিৎ ছিল। আর এন্ড্রয়েড সেই জেলিবিন এই আটকে আছে।
[copied from many websites]
 

Comments